সুন্নি হানাফি গ্লোবাল
ঈমানের পথে, উম্মতের জন্যে, ঐক্যের বন্ধনে
Click Here
সুন্নি হানাফি গ্লোবাল
ঈমানের পথে, উম্মতের জন্য , ঐক্যের বন্ধনে
Click Here
সুন্নি হানাফি গ্লোবাল
ঈমানের পথে, উম্মতের তরে , ঐক্যের বন্ধনে
Click Here
সুন্নি হানাফি গ্লোবাল
ঈমানের পথে, উম্মতের তরে , ঐক্যের বন্ধনে
Click Here
Previous slide
Next slide

কার্যক্রম

numan bin sabit barcelona spain

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

সংবাদ/ প্রতিবেদন

Play Video

গ্যালারি

প্রশ্ন / উত্তর

উত্তর : একজন বিক্রেতা অবস্থা বিচেনায় পণ্যের মূল্য কম বা বেশি নির্ধারণ করতে পারে। এ হিসেবে নগদের তুলনায় বাকি বিক্রিতে পণ্যের মূল্য কিছুটা বেশি নেওয়া তার জন্য জায়েজ। এটা সুদের অন্তর্ভুক্ত নয়। ইমাম শুবা ইবনুল হাজ্জাজ রহ. বলেন, আমি হাকাম ইবনে উতাইবা রহ.-কে জিজ্ঞাসা করলাম, এক ব্যক্তি এভাবে কাপড় বিক্রি করে যে, নগদে নিলে দশ দিরহাম আর বাকিতে নিলে পনের দিরহাম। (এতে কোনো সমস্যা আছে কি?) তিনি বললেন, যদি মজলিস ত্যাগ করার পূর্বে যে কোনো একটি মূল্য চূড়ান্ত করে নেয়, তাহলে কোনো সমস্যা নেই।

[মুসনাদু ইবনিল জা’দ, ২৯০]

তবে এ ক্ষেত্রে বিক্রিচুক্তির সময় বাকির মেয়াদ ও পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে নেওয়া এবং বিক্রিত পণ্য নগদে হস্তান্তর করা আবশ্যক। পণ্য ও মূল্য উভয়টি বাকি রাখা জায়েয হবে না। একইভাবে মূল্য পরিশোধে বিলম্ব হলে চুক্তির সময় ধার্যকৃত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়াও জায়েয হবে না। মূল্য পরিশোধে বিলম্ব হওয়ায় অতিরিক্ত টাকা নিলে তা সুদ বলে গণ্য হবে।

সূত্র : মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, ২১৬৭৯; সুনানুত তিরমিযি, ৩/৫২৫; আল-মাবসুত, ১৩

উত্তর : কসম ভঙ্গের কাফফারা হিসেবে তিনটি রোজা ধারাবাহিকভাবে রাখা জরুরি। কেউ যদি ধারাবাহিকভাবে তিনটি না রাখে তাহলে পুনরায় তিনটি রোজা রাখতে হবে। (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৮৯, আদ্দুররুল মুখতার : ৩/৭২৭, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৭/৩৬১)

উত্তর: ইসলামে পারিবারিক বিরোধ সমাধানের জন্য পারস্পরিক সমঝোতা, ক্ষমাশীলতা এবং মধ্যস্থতা করার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কুরআনে আল্লাহ বলেন, “যদি কোনো স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে বৈরিতা বা উদাসীনতার আশঙ্কা করে, তবে তাদের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা করা কোনো অপরাধ নয়। এবং সমঝোতা উত্তম।” (সূরা আন-নিসা: ১২৮)।

মহানবী (সা.) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি হল সেই ব্যক্তি যে তার পরিবারের কাছে সর্বোত্তম।” (তিরমিজি, হাদিস: ৩৮৯৫)। বিরোধের সময় তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা করা বা কুরআন ও সুন্নাহর আলোকেই সমাধান খুঁজে বের করা উচিত। সমঝোতা এবং আল্লাহর ভয় নিয়ে সমস্যার সমাধান করা উত্তম।


উত্তর: ইসলামে হালাল উপার্জন করা ফরজ এবং হারাম উপার্জন থেকে বিরত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহানবী (সা.) বলেছেন, “হালাল স্পষ্ট এবং হারাম স্পষ্ট। কিন্তু এ দুটির মাঝে কিছু সন্দেহজনক বিষয় আছে যা অনেক লোক জানে না। যে ব্যক্তি সন্দেহজনক বিষয় থেকে বাঁচবে, সে তার দীন এবং সম্মানকে রক্ষা করবে।” (সহীহ মুসলিম, হাদিস: ১৫৯৯)।

যদি কেউ হালাল ও হারামের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে না পারেন, তবে আলেমদের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং কুরআন ও হাদিস থেকে নির্দেশনা গ্রহণ করা উচিত। এছাড়া, কোনো উপার্জনের ক্ষেত্রে সন্দেহ হলে তা থেকে বিরত থাকা উত্তম।

উত্তর: ইসলামে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হিসাবে সঞ্চয়, সাদাকাহ ও যাকাত প্রদানের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, “তোমাদের যাকাত প্রদান করো, যা তোমাদের সম্পদকে পবিত্র করবে এবং বারাকাহ আনবে।” (সূরা তাওবা: ১০৩)। এছাড়া, রিজিকের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া এবং হালাল পথে উপার্জন করাও জরুরি।

উত্তর : রাসুল (সা.) মধু, হালুয়া বা মিষ্টিজাতীয় দ্রব্যকে অধিক পছন্দ করতেন বলে হাদিস শরিফে পাওয়া যায়। তবে খাওয়ার শেষে মিষ্টি বা মিষ্টিজাতীয় দ্রব্য খাওয়া সুন্নত তার প্রমাণ পাওয়া যায় না। (বুখারি, হাদিস : ৫৪৩১, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ১৪/৪১৪,৪১৫, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ১১/৩৬৮)

উত্তর: রাগ নিয়ন্ত্রণ করা ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। মহানবী (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি রাগ নিয়ন্ত্রণ করে, আল্লাহ তাকে পুরস্কৃত করবেন।” (সহীহ মুসলিম, হাদিস: ২৬০৯)। রাগের সময় ওযু করা এবং একা থাকা রাগ কমাতে সহায়ক হতে পারে। এছাড়া, মহানবী (সা.) রাগের সময় শুয়ে পড়তে অথবা অবস্থান পরিবর্তন করতে বলেছেন। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৮২)।

উত্তর: ইসলামে আর্থিক সংকট মোকাবেলায় ধৈর্য, পরিশ্রম এবং আল্লাহর উপর নির্ভর করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য একটি পথ খুলে দেবেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেবেন যা সে কল্পনাও করতে পারে না।” (সূরা আত-তালাক: ২-৩)।

এছাড়াও, ইসলামে সাদাকাহ ও যাকাতের মাধ্যমে নিজের সম্পদকে পবিত্র করার এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করার নির্দেশনা রয়েছে, যা আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে। মহানবী (সা.) বলেছেন, “দাতা কখনও গরীব হবে না।” (সহীহ মুসলিম, হাদিস: ১০১৯)।

এই উত্তরগুলো ইসলামী শিক্ষার ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে এবং পবিত্র কুরআন ও হাদিস থেকে নেওয়া হয়েছে। ইসলামের মূল্যবোধ ও নির্দেশনা দৈনন্দিন জীবনের জটিল সমস্যার সমাধানে সহায়ক হতে পারে।

Scroll to Top